মার্কিন প্রেসিডেন্টের অর্থহীন বক্তব্যের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, সংলাপের শর্ত হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা। যে-কোনো রকমের হুমকি বা অপমান ইরানকে তার প্রকৃত শক্তি প্রকাশের দিকে নিয়ে যাবে।
তথ্য অধিদপ্তর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষয়ক জেনারেল ডিরেক্টরেটের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানায়, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এক্স-এ লিখেছেন- ইরানিদের পরিশীলিত রুচি এবং দৃঢ়তা আমাদের জটিল ও দুর্দান্ত কার্পেটে সুপরিচিত। কার্পেট ঘন্টার পর ঘন্টা কঠোর পরিশ্রম এবং অসীম ধৈর্য নিয়ে বোণা হয়। কিন্তু একটি জাতি হিসেবে, আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি খুবই সহজ এবং স্পষ্ট: আমরা আমাদের মূল্য জানি, আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে মূল্য দিই এবং আমরা কখনই অন্যদেরকে আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে দেব না।
আরাকচি আরও বলেন, যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্যিই একটি চুক্তি চান, তাহলে তার উচিত ইসলামী বিপ্লবের নেতার প্রতি তার অপমানজনক এবং অগ্রহণযোগ্য কণ্ঠস্বর ত্যাগ করা এবং তার লক্ষ লক্ষ সহানুভূতিশীল এবং আন্তরিক অনুসারীদের আঘাত করা বন্ধ করা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের আগ্রাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, মহান ও শক্তিশালী ইরান বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংস থেকে বাঁচতে ইসরাইল “পিতার” কাছে আশ্রয় নিতে হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া ছাড়া তার আর কোনও উপায় ছিল না এবং নেই। সুতরাং ইরান কখনই হুমকি এবং অপমান সহ্য করবে না।
আরাকচি বলেন, যদি বিভ্রান্তি আরও বড় রকমের ভুলের দিকে পরিচালিত করে, তবে ইরান নিঃসন্দেহে তার আসল শক্তি প্রকাশ করবে। এটা এমন একটি ক্ষমতা যা ইরানের শক্তি সম্পর্কে যে কোনও বিভ্রমের অবসান ঘটাবে। উদ্দেশ্য ভালো হলে মঙ্গল বয়ে আনবে আর সম্মান নিয়ে আসে শ্রদ্ধা। পার্সটুডে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.