যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিল ইরান

পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আপাতত কোনো বৈঠকে বসবে না ইরান। মাত্র দু’দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, এ সপ্তাহে দেশ দুটি ফের আলোচনায় বসবে। কিন্তু গতকাল ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এ ধরনের বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। দেশটির সঙ্গে আলোচনায় থাকা অবস্থাতেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় ক্ষুব্ধ খোমেনি প্রশাসন তখনই এমন আলোচনায় আর না ফেরার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাঘচি আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বৈঠকে না বসার বিষভয়টি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন।

তিনি বলেন, এর আগে পাঁচ দফা বৈঠকের পর আলোচনা প্রক্রিয়ার মাঝেই তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। এখন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসায় তেহরানের কোনও স্বার্থ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গতকাল আরাঘচির এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তেহরানের সঙ্গে পরের সপ্তাহে আলোচনা করার কথা ভাবছে হোয়াইট হাউজ।

হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দাবি ছিল, তারা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা ধ্বংস করে দিতে চায়। তবে ইরান বরাবরই দাবি করে এসেছে, বেসামরিক খাতে ব্যবহারের জন্য তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

আরাঘচি বলেছেন, পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলার ক্ষতি একবারে কম হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির নতুন বাস্তবতা বিবেচনা করবেন। তাদের সিদ্ধান্তের ওপরই ইরানের ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক পদক্ষেপ নির্ভর করবে বলে জানিয়েছে তিনি।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.