যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের প্রধান জেনারেল ড্যান কেইন বলেছেন, ইরানে অপারেশন মিডনাইট হ্যামার ছিল ১৫ বছরের কাজের ‘চূড়ান্ত পরিণতি।’ হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় যাতে সাফল্য অর্জন করা যায়, সেজন্য ডিজাইন, পরিকল্পনা এবং সরবরাহ করা হয়েছিল।
কেইন বলেন, ঘটনাস্থলে দুইটি ভেন্ট শ্যাফ্টে তারা হামলা করেছিল। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, হামলা প্রতিহত করার জন্য ইরানিরা সেগুলো কংক্রিট দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ঘটনাস্থলে মোট ছয়টি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল বলে জানান কেইনি। পরে একটি বোমার ভিডিও দেখান তিনি।
ফোর্দো সাইটের কথা উল্লেখ করে জেনারেল ড্যান কেইন বলেন, ইরানের পাহাড়ের গভীরে একটি প্রকল্পের বিষয়ে আমেরিকা প্রথমে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল। ইউএস ডিফেন্স থ্রেট রিডাকশন এজেন্সি বা মার্কিন প্রতিরক্ষা হুমকি হ্রাস সংস্থার একজন কর্মকর্তা ১৫ বছর ধরে ফোর্দো নিয়ে গবেষণা করছিলেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ২২ জুন হামলা চালানোর লক্ষ্যে একটি “বাংঙ্কার-বাস্টার” বোমা তৈরি করা হয়েছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলাকে ‘ঐতিহাসিক সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আমেরিকার নাগরিকদের এই সাফল্য উদযাপন করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এক সংবাদ সম্মেলনে পিট হেগসেথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ‘ধ্বংস’ করেছে। পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া একটি প্রতিবেদনকে প্রাথমিক প্রতিবেদন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যেটিতে বলা হয়েছে, মার্কিন হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে মাত্র কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের সাফল্যকে ছোট করে দেখানোর একটি ‘এজেন্ডা’ থাকার অভিযোগও করেছেন পিট হেগসেথ। খবর- বিবিসি বাংলা
তিনি আরও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল এবং গোপন সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে মহান সাফল্য অর্জন করেছেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.