আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত শেষ: মিলেছে ৩০ জনের সম্পৃক্ততা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন প্রসিকিউশন। তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডে ৩০ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হতে পারে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।

ওই ঘটনায় ১৮ আগাস্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এছাড়া গত ১৩ জানুয়ারি সাঈদের পরিবার ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন।

এর আগে ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। এ প্রতিবেদনে আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে ৩০ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে বলে জানা গেছে।

এই মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সময়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, আবু সাঈদকে সরাসরি গুলি করা পুলিশের দুই সদস্য এসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ওই সময়ের সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী আকাশ কারাগারে আছেন।

এর আগে রোববার (১৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন। আগামী ১৪ জুলাই এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হযেছিল।

তবে তার আগেই তদন্ত শেষে প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.