তেহরানে কারাগার ও মিলিশিয়া সদর দফতরে ইসরায়েলি হামলা

তেহরানে ইরানি সরকারের কিছু লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলার কথা উল্লেখ করেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। তিনি বলেন, তাদের টার্গেটে বাসিজের সদর দপ্তর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি একটি মিলিশিয়া বাহিনীর সদর দপ্তর। প্রায়শই বিক্ষোভ দমনের জন্য এই মিলিশিয়া বাহিনী ব্যবহার করে ইরানি সরকার।

কাৎজ আরও বলেন, এভিন কারাগারকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যেখানে রাজনৈতিক বন্দি এবং ‘শাসনামলে শত্রুদের’ বন্দি করে রাখা হয়।

বিবিসি ভেরিফাই কারাগারের প্রবেশ পথে একটি বিস্ফোরণের ভিডিও ফুটেজ নিশ্চিত করেছে।

ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর অনুমোদিত সংবাদ সংস্থা ফার্স আরও জানিয়েছে, মনে হচ্ছে এভিন কারাগারের প্রবেশপথটি ড্রোন অথবা সীমিত বিস্ফোরক ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

তবে কারাগার থেকে কেউ পালিয়ে যাওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে, ইরানের বিচার বিভাগ তেহরানের এভিন কারাগারে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে প্রজেক্টাইল কারাগারে আঘাত করেছে এবং এতে কারাগারের কিছু অংশের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে রয়েছে’ বলে জানিয়েছে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর অনুমোদিত সংবাদ সংস্থা ফার্স।

এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলার পর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখোমুখি হচ্ছেন উত্তর তেহরানের বাসিন্দারা।

ইরানের জাতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি তাভানির জানিয়েছে, এ হামলায় রাজধানীর উত্তরাঞ্চলীয় দুইটি জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে ।

এদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি নিশ্চিত করেছে রাজধানীর কিছু অংশে “অস্থায়ী বিদ্যুৎ বিভ্রাট” হয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.