বর্তমান সময়ে এমন কোনো দিন নেই যে আমরা স্মার্টফোন ব্যবহার করিনা। যোগাযোগ করার জন্য, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে, গেম খেলতে, কাজ কিংবা পড়ালেখার উদ্দেশ্যেও স্মার্টফোন ব্যবহার করি। কিন্তু, স্মার্টফোন ব্যবহার করার জন্য ব্যাটারিতে চার্জ থাকা আবশ্যক। স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন। তবে, সঠিক পদ্ধতিতে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে ব্যাটারি বাঁচানো যাবে এবং অধিক সময় যাবত স্মার্টফোনটি ব্যবহার করা যাবে। ভালো ব্যাটারির মোবাইল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে MobailDokan এর ওয়েবসাইট থেকে
স্মার্টফোনের ব্যাটারি বাঁচাতে সেরা টিপসগুলো নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক।
ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কমানো
স্মার্টফোনের ডিসপ্লে ব্যাটারির চার্জ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে। তাই, ব্যাটারি বাঁচানোর অন্যতম সেরা উপায় হলো ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা। বেশিরভাগ ফোনেই অটো-ব্রাইটনেস অপশন থাকে, যা আশেপাশের আলোর ওপর ভিত্তি করে ডিসপ্লের ব্রাইটনেস নিজে থেকেই ঠিক করে নেয়।
তবে, ম্যানুয়ালি ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখলে ব্যাটারি আরও বেশি সাশ্রয় করা যায়। বিশেষ করে, ঘরের ভেতরে বা কম আলোতে কম ব্রাইটনেসেও ভালোভাবে দেখা যায়। এছাড়া, ব্রাইটনেস কম দিয়ে ফোন ব্যবহার করলে ফোনের চার্জ বাঁচানোর পাশাপাশি চোখকেও বাঁচানো সম্ভব হবে। তাই, বেশি আলোতে না গেলে ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন।
স্ক্রিন টাইমআউট সময় কমানো
আমরা অনেকেই ফোন ব্যবহার না করলেও স্ক্রিন অন করে রেখে দিই। এর ফলে অকারণে ব্যাটারির চার্জ নষ্ট হয়। স্ক্রিন টাইমআউট সেটিংস থেকে এই সময় কমিয়ে দিলে ব্যাটারির চার্জ সেভ করা সম্ভব। সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে স্ক্রিন টাইমআউট সেট করা ভালো। এতে ফোন ব্যবহার না করার সাথে সাথেই স্ক্রিন অফ হয়ে যাবে এবং ব্যাটারি সাশ্রয় হবে।
অর্থাৎ, আপনি ফোন ব্যবহার করার পর স্ক্রিন অন করে রেখে দিলে কত সময় পর স্ক্রিন অটোমেটিক অফ হয়ে যাবে সেটি নির্ধারণ করতে পারবেন এই সেটিংস এর মাধ্যমে।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ রাখা
অনেক অ্যাপ আছে যেগুলো আমরা নিয়মিত ব্যবহার করি না, কিন্তু সেগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং ব্যাটারির চার্জ খরচ করে। তাই, যে অ্যাপগুলো প্রয়োজন নেই, সেগুলোকে বন্ধ করে দিন অথবা আনইনস্টল করে ফেলুন। এছাড়াও, রিসেন্ট অ্যাপস মেনু থেকে নিয়মিত অব্যবহৃত অ্যাপগুলো ক্লিয়ার করে দিন। পাশাপাশি, ব্যাটারি রেস্ট্রিকশন অপশন ব্যবহার করে কোন অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে সেটি সিলেক্ট করতে পারবেন।
GPS বন্ধ রাখা
জিপিএস বা লোকেশন সার্ভিস ব্যাটারির চার্জ খুব দ্রুত শেষ করে দেয়। যখন প্রয়োজন, যেমন ম্যাপস ব্যবহার করার সময়, কেবল তখনই লোকেশন সার্ভিস অন করুন। অন্য সময় এটি বন্ধ রাখাই শ্রেয়। সেটিংস থেকে সহজেই লোকেশন সার্ভিস অন বা অফ করা যায়।
পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করা
অধিকাংশ স্মার্টফোনেই পাওয়ার সেভিং মোড বা ব্যাটারি সেভার মোড থাকে। এই মোড চালু করলে ফোনের পারফরম্যান্স কিছুটা কমে গেলেও ব্যাটারির ব্যাকআপ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। যখন ব্যাটারির চার্জ কম থাকে তখন এই পাওয়ার সেভিং মোড বা ব্যাটারি সেভার মোড অন করুন।
অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করা
প্রায় প্রতিটি অ্যাপ থেকেই নোটিফিকেশন আসে। নোটিফিকেশন আসার কারণে বারবার ফোনের স্ক্রিন অন হয়। বারবার স্ক্রিন অন হয়ে স্ক্রিন টাইমআউট সময় পর্যন্ত অন থাকে। ফলে, এভাবে অধিক পরিমাণে নোটিফিকেশন আসলে ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়। তাই, যেসব অ্যাপের নোটিফিকেশন প্রয়োজন নেই, সেগুলোর নোটিফিকেশন অফ করে রাখুন।
পাশপাশি, নোটিফিকেশন আসলেও ফোনের স্ক্রিন অন হবেনা এমন একটি সেটিংস প্রায় সব ফোনেই রয়েছে, সেটি অন করে রাখুন।
ওয়াই–ফাই, ব্লুটুথ এবং মোবাইল ডেটা অফ রাখা
যখন ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ বা মোবাইল ডেটার প্রয়োজন নেই, তখন এগুলো বন্ধ রাখুন। বিশেষ করে মোবাইল ডেটা সবসময় অন রাখলে এটি ব্যাটারি কনজিউম করে সবথেকে বেশি। এছাড়া, যে এলাকায় নেটওয়ার্ক খুবই কম, সেখানে এয়ারপ্লেন মোড অন করে রাখার চেষ্টা করুন। কারণ, অনবরত নেটওয়ার্ক খোঁজার কারণে ব্যাটারির চার্জ খুব দ্রুত শেষ হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.