হেয়ারিং এইড কেনার আগে যা জানতে হবে

হেয়ারিং এইড কেনার আগে যা জানতে হবে

একটা বয়সের পর মানুষের কানে শোনার সমস‍্যা দেখা দেয়। খুব বেশি মেজর কন্ডিশনে না পরলে অনেকে  এধরনের সমস‍্যা নিয়ে অনেক ধরনের ভোগান্তির ও স্বীকার হয়ে থাকেন। কিন্তু সমস‍্যা যতোই হোক না কেন, কানে কম শোনার সমস‍্যার সমাধান হিসাবে হেয়ারিং এইড যন্ত্রটি ম‍্যাজিকের মতো কাজ করে থাকে।

হেয়ারিং এইড যন্ত্রটি মূলত এক ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র। শ্রবণশক্তি কমে গেলে বেশিরভাগ সময়ই এটিকে ব‍্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু ভালোভাবে যাচাইবাছাই না করে যদি হেয়ারিং এইড যন্ত্র কিনে ফেলেন তাহলে সমস‍্যায় পরতে পারেন। নিচে হেয়ারিং এইড কেনার আগে ঠিক কি কি জানতে হবে সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।

হেয়ারিং এইড কেনার আগে যা জানা জরুরি 

হেয়ারিং এইড কেনার আগে আপনাকে যেসব ব‍্যাপারে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হলো:

 

নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া 

হিয়ারিং এইড কেনার আগে অবশ্যই নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করুন। এটি আপনার জন‍্যে একটি বিশেষ যন্ত্র যা আপনাকে সমস্ত ধরনের অসুবিধা থেকে বাঁচিয়ে রাখে।

 

ট্রায়াল ছাড়া হেয়ারিং এইড না কেনা

সব ধরনের হেয়ারিং এইড যন্ত্র সবার কানে এডজাস্ট নাও হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন যখনি কোন হেয়ারিং এইড কিনবেন সেটি যাতে একদম নতুন ফ্রেশ এবং ইনটেক্ট থাকে। যদি সম্ভব হয় তো একটু ট্রায়াল দিয়েও কিনতে পারবেন।

 

পাওয়ার বাড়ানোর সুযোগ আছে কিনা জেনে নেওয়া 

হেয়ারিং এইড যন্ত্রের পাওয়ার বাড়ানোর সুযোগ থাকলে আপনি সেটিকে সহজেই বৃদ্ধি করতে পারবেন। একটি ভালো মানের হেয়ারিং এইড যন্ত্র অন্ততপক্ষে পাঁচ বছর থেকে ছয় বছর পযর্ন্ত লাগাতার ব‍্যবহার করা যায়। এরপর থেকে এটি কম কার্যকর হয়ে থাকে। তাই যেই হেয়ারিং এইড যন্ত্রই আপনি কিনেন না কেন, চেষ্টা করবেন যন্ত্রটিতে পাওয়ার বাড়ানোর সুযোগ আছে কিনা সেটি চেক করে নেওয়ার।

 

ওয়ারেন্টি, গ‍্যারেন্টি এবং সার্ভিস চার্জ সবকিছু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া 

আপনি যেই ধরনের হেয়ারিং এইড যন্ত্রই কিনুন না কেন, যন্ত্রটির ওয়ারেন্টি, গ‍্যারেন্টি এবং সার্ভিস চার্জ সবকিছু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া। এগুলো ছাড়া কোন ধরনের হেয়ারিং এইড যন্ত্র ক্রয় করা বোকামির সমতুল‍্য। তাই কেনার আগে এগুলোকে অবশ্যই যাচাই করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

 

শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে আনার প্রলোভন থেকে সতর্ক থাকা

হেয়ারিং এইড যন্ত্র কখনোই আপনার শ্রবণশক্তিকে ফিরিয়ে আনতে পারেনা। তাই আপনার দিক থেকে চেষ্টা করুন সবসময়ই শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে আনার প্রলোভন থেকে মুক্তি পাওয়ার। এ ধরনের প্রলোভন যুক্ত বিজ্ঞাপন আপনাকে অনেক বেশি সমস‍্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে।

 

নিম্নমানের মেশিন না কেনা

বাজার থেকে নিম্নমানের মেশিন ক্রয় করলে অনেক সময় কানে নানান ধরনের সমস‍্যা দেখা দিতে পারে। তাই কখনোই হেয়ারিং এইড যন্ত্র খোলাবাজার থেকে কম দামে না কিনে চেষ্টা করবেন একটু ব্রান্ডেড জায়গা থেকে কেনার। ডাক্তারের পরামর্শ সাপেক্ষে হেয়ারিং এইড বিডিস্টল থেকে ক্রয় করতে পারবেন। এখানে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের হেয়ারিং এইড এভেইলএবল রয়েছে।

ব‍্যবহারের সময় খেয়াল রাখা 

হিয়ারিং এইড যন্ত্র আপনার শরীর এবং কানের সঙ্গে এডজাস্ট হতে অনেক সময় লাগতে পারে। তাই ব‍্যবহারের সময় খেয়াল রাখবেন যখনই এটি ব‍্যবহার করবেন এটি যাতে আপনার নিজের গলার স্বরকে পরিবর্তন না করে ফেলে। শুরুতে অস্বস্তি লাগলেও পরবর্তীকালে এটি ধীরে ধীরে ঠিক হতে শুরু করে।

এ ধরনের যন্ত্র প্রতিদিন ব‍্যবহার করাই ভালো এক দুই দিন ব‍্যবহার করার চাইতে। আপনি যতো লম্বা সময় ধরে হেয়ারিং এইড যন্ত্রটিকে ব‍্যবহার করবেন এটি তত দ্রুত আপনার সাথে মানিয়ে যাবে।

 

হেয়ারিং এইড নিয়মিত ব‍্যবহারের চেষ্টা করুন 

প্রতিদিন হেয়ারিং এইড নিয়মিত ব‍্যবহারের চেষ্টা করুন এতে করে আপনার এই যন্ত্রটি ব‍্যবহারের অস্বস্তি কেটে যাবে। বিভিন্ন পরিবেশে এটিকে ব‍্যবহারের চেষ্টা করুন কারণ এটির বর্ধিত শব্দ বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন রকমের হতে পারে।

 

৫০ ডেসিবেলের বেশি দুই কানেই হেয়ারিং এইড ব‍্যবহার করুন

৫০ ডেসিবলের বেশি শ্রুতিক্ষীণতা দেখা দিলে চেষ্টা করুন দুই কানেই এটিকে ব‍্যবহার করার। এতে করে আপনি স্পষ্টভাবেই যে কোন কিছু শুনতে পাবেন কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই।

 

সতর্কতাঃ

হেয়ারিং এইড যন্ত্রটিকে উচ্চতা, আর্দ্রতা এবং পানি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। শিশুর হাতের নাগালের বাইরে রাখুন। তবে জেনে রাখা ভালো, ব‍্যবহারকারী ও শোনা যন্ত্রের মধ‍্যে বিশেষ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তাই ব‍্যাটারির আয়ু কমলে সময় মতো তা পরিবর্তন করে ব‍্যবহারের চেষ্টা করুন। হেয়ারিং এইড ব্যবহার শেষে এর পাওয়ার সুইচ অফ করে রাখতে হবে। এতে করে যন্ত্রটি অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে এবং ব্যবহার করা যাবে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.