ইরানে ট্রাম্পের হামলা: যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ইরানে ট্রাম্পের হামলার সিদ্ধান্তের পর এর পক্ষে-বিপক্ষে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা। কয়েকজন সিনেটর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ছেন, তেমনি কেউ কেউ এটিকে অসাংবিধানিক বলে সমালোচনাও করেছেন।

যেমন সাউথ ক্যারোলাইনার সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম হামলার জন্য ট্রাম্পকে অভিবাদন জানিয়েছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন যে, ট্রাম্প ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন। একই ধরনের মন্তব্য করেছেন রিপাবলিকান সেনেটর রজার উইকারও, যিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, ইরানের ‘হুমকি’ অপসারণ করার লক্ষ্যে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ‘সঠিক’ ছিল।

তবে রিপাবলিকান সেনেটরদের কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। যেমন কেন্টাকির সেনেটর টমাস ম্যাসি হামলার সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি সারা জ্যাকবস পোস্ট করেছেন যে, এই হামলা ‘যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকটি ভয়াবহ ও দীর্ঘ’ যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইরানে হামলা সংক্রান্ত ট্রাম্পের পোস্ট শেয়ার করলেও এখনো এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি।

এর আগে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থাপনাগুলো হচ্ছে ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোষ্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে বলেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা – ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে। ফোরদোর প্রাথমিক স্থাপনায় বোমার বিস্ফোরক উপাদান নিক্ষেপ করা হয়েছে। সমস্ত বিমান নিরাপদে বাড়ি ফেরার পথে’ । এপি, বিবিসি, আল-জাজিরা।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.