ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে আহত ৬৫

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হোলোন শহরে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রামাতগন এলাকায় প্রায় ২০ জন হালকা আঘাত পেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে ইরানের হামলায় ইসরায়েলের সোরোকা হাসপাতাল থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডুলি দেখা গিয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা এখনো সেখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম-এমডিএ জানিয়েছে, ইরানি হামলার পর মোট ৬৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে ৮০-এর কোঠায় একজন পুরুষ এবং ৭০-এর কোঠায় দুই নারী রয়েছেন, যাদের অবস্থা “গুরুতর”। ৮০-এর কোঠায় দুই নারী, “মাঝারি” আঘাত পেয়েছেন এবং ৪২ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন। হামলার আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ১৮ জন আহত হয়েছেন।

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি ছিল সশস্ত্র বাহিনীর ১৪তম শক্তিশালী সমন্বিত হামলা, যা তারা বিভিন্ন কৌশলগত স্থাপনার ওপর চালিয়েছে। তবে এর চেয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ইসরায়েলের বিরশেভা শহরের সোরোকা হাসপাতালের পাশে একটি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ- এর মতে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একটি “কমান্ড ও গোয়েন্দা সদরদপ্তর (আইডিএফ-সিফোরআই)” এবং গাভ-ইয়াম টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত একটি সেনা গোয়েন্দা ক্যাম্পের উপর এই হামলা চালানো হয়েছে। হাসপাতাল মূলত বিস্ফোরণের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। আসল লক্ষ্য ছিল সামরিক অবকাঠামো, আর সেটাই সরাসরি ও নির্ভুলভাবে আঘাত করা হয়েছে।

গাভ-ইয়াম নেগেভ টেকনোলজি পার্কের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি বেন গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং আইডিএফ-সিফোরআই ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাসের পাশে অবস্থিত।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম আগে জানিয়েছিল, এখানে আইডিএফ-এর একটি ক্যাম্পাস নির্মাণাধীন রয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.