ইসরায়েলের ওপর ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইরানের ফার্স ও তাসনিম বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইরান আবারও নতুন করে ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

সেইসঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই হামলার কারণে দেশজুড়ে সতর্কতা সাইরেন বেজে উঠেছে এবং মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে লুকিয়েছে।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, তেল আভিভ ও জেরুজালেমে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, অন্তত চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হেনেছে।

টাইমস অব ইসরায়েল লিখেছে, এসব এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এই হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েল বলেছে, তারা যতদিন প্রয়োজন, ততদিন তাদের অভিযান চালাতে থাকবে এবং লক্ষ্য পূরণ করবে।

প্রথম কয়েক দিনের তুলনায় ইরান এখন যে হারে ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছুড়ছে, তার সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কম বলে মনে হচ্ছে।

ইসরায়েলের দাবি, কারণ হলো তাদের সেনা ও বিমানবাহিনী ইরানের পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলের (ইলামের প্রদেশ, কুর্দিস্তান, পূর্ব আজারবাইজান, পশ্চিম আজারবাইজান এবং কেরমানশাহ) সব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা ধ্বংস করতে পেরেছে।

এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ইসরায়েল পর্যন্ত পৌঁছানোর দূরত্ব ইরানের কেন্দ্র থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক কম। ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ক্ষমতা ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে।

তবে ইরান বলছে, তাদের কাছে এমন অস্ত্র আছে, যা এখনও ব্যবহার করা হয়নি, এবং সেগুলো দিয়ে ইসরায়েলের ওপর বড় ধরণের হামলা চালানো হতে পারে।

ইরান বুধবার জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের দিকে নতুন প্রজন্মের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যা আগের চেয়ে দ্রুত ইসরায়েলে পৌঁছায়। ইরান আরো বলেছে, বিশ্বের গুটি কয়েক উন্নত রাষ্ট্রের কাছেই এমন ক্ষেপণাস্ত্র আছে।

এদিকে ইসরায়েল ইরানে রাতভর হামলা চালিয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ইরানের টেলিভিশনের বরাতে জানিয়েছে, ইরানের আরাক হেভি ওয়াটার পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

এই হামলা ইসরায়েল-ইরান চলমান উত্তেজনা একটি গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.