মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেননি। বিবিসিসহ মার্কিন গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
এর মূলে আছে ফরদো সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য অপরিহার্য ভূগর্ভস্থ একটি স্থাপনা। এটি ধ্বংস করার সক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই আছে।
ট্রাম্প কী করবেন তা জনসমক্ষে স্পষ্ট করে বলেননি। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, আমি এটা (হামলা) করতে পারি, আবার নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করতে চাই। তবে এতটুকু বলতে পারি, ইরান বড় সমস্যায় আছে এবং আলোচনায় ফিরতে চায়।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোভাব পাল্টে যাওয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি ট্রাম্পকে যুদ্ধের পক্ষে রাজি করাতে ধারাবাহিকভাবে চাপ প্রয়োগ করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রথম রাতের হামলা সফল হওয়ায় অর্থাৎ যে হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডাররা নিহত হন, তা ট্রাম্পকে মুগ্ধ করে এবং তাকে যুদ্ধের কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
বুধবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প নিজেও বলেন, প্রথম দিনের আঘাতে তারা (ইরানিরা) সত্যিই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে… এই সংঘাতের এক পক্ষ ভেঙে পড়েছে।
নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা যে কার্যকর হতে পারে, এই বিশ্বাস ট্রাম্পকে যুদ্ধপন্থী শিবিরের দিকে আরও টেনে নিতে পারে। তবে তার এই অবস্থান স্থায়ী হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ট্রাম্প তার বিবৃতির পর পাঁচ ছয় মিনিটের বক্তব্যে বারবার বলেন, এখন আর আলোচনার সময় নেই। “ইরান আমাদের প্রস্তাব মেনে নিলে ভালো হতো।”
তবুও তিনি সরাসরি আলোচনার পথ পুরোপুরি বন্ধ করেননি। বলেন, আমরা হয়তো এগোবো, হয়তো কিছুই করবো না, এবং সিদ্ধান্ত “শেষ মুহূর্তেই” নেওয়া হবে, কারণ যুদ্ধের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত সবকিছু বদলে যেতে পারে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি শুক্রবার জেনেভায় যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন।
এদিকে ইসরায়েল ইরানে আবার রাতভর হামলা চালিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ইরানের টেলিভিশনের বরাতে জানিয়েছে, ইরানের আরাক হেভি ওয়াটার পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হুমকি দিয়েছিলো যে, রিঅ্যাক্টরের আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা যেন অবিলম্বে এলাকা ত্যাগ করেন।
এই হামলা ইসরায়েল-ইরান চলমান উত্তেজনা একটি গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.