তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি-এর প্রধান কার্যালয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী হামলা চালিয়েছে। হামলার কারণে টিভির সরাসরি সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটে। যদিও পরে টিভির সরাসরি সম্প্রচার পুনরায় শুরু হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায় নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের আওতাধীন ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক (আইআরআইএনএন) জানিয়েছে,তারা ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়েছে। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল ‘সত্যের কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ।
হামলার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে,সম্প্রচার চলাকালেই স্টুডিও কাঁপতে শুরু করে। ধূলা ও ধোঁয়ায় ভরে যায় পর্দা। একপর্যায়ে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি শোনা যায় পেছন থেকে। একজন ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে বেরিয়ে আসছেন বলেও ভিডিওতে দেখা গেছে।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ ও আল জাজিরা জানায়,হামলার কিছু আগে উপস্থাপিকা সাহার ইমামি বলছিলেন, ‘যা শুনছেন,তা আগ্রাসনের শব্দ। সত্যের ওপর আঘাত।’ এর কয়েক সেকেন্ড পরই ঘটে বিস্ফোরণ। এ সময় স্টুডিও ছেড়ে দৌড়ে বেরিয়ে যান উপস্থাপিকা সাহার ইমামি।
এই হামলার কিছুক্ষণ আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’ বলে হুমকি দিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। কাৎজের বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, ইরানের প্রচারণা ও উসকানির মেগাফোন ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলার কথা স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। হামলার পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, তেহরানের স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যেতে বলার পরে ওই হামলাটি চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন,ইরানের স্বৈরশাসক যেখানেই থাকুন না কেন,তাকে আঘাত করা হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.