ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এই হামলা তৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে, যা একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
শনিবার গভীর রাতে দেশ দুটি একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে নতুন করে হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার থেকে রোববার পর্যন্ত উত্তর ইসরায়েলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন।
আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, রোববার ভোরে তেহরানে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালায়।
ইরানি কর্মকর্তারা আরও জানান, তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত শাহরান তেল ডিপোতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। তাসনিম নিউজ জানিয়েছে যে, অপারেশনাল এবং উদ্ধারকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং আগুন নেভানোর জন্য কাজ করছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল-১৩ জানিয়েছে, হাইফা এবং নিকটবর্তী তামরায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। হাইফায় বড় ধরনের হামলা চালানোর বিষয়টি অনুমান করা হয়েছিল। কারণ উপকূলীয় শহরটিতে কৌশলগত গ্যাস অবকাঠামো রয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি ইরানের বুশেহর এবং আবাদানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি বোমা হামলার প্রতি তেহরানের প্রতিশ্রুত প্রতিশোধের সূচনা।
ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের জন্য ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করলেও অনেক ইসরায়েলি এতে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। ইসরায়েলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ আল জাজিরাকে জানায়, দেশটির জনগণের মধ্যে উদ্বেগ এবং অবিশ্বাস ক্রমাগত বাড়ছে।
তিনি জানান,”ইরানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য ব্যাপক সমর্থন রয়েছে , এটিই সরকারী বর্ণনা । কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করে না, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করবে বা শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন আনবে। তারা নিজেদের রক্ষা করতে শুরু করেছে।”
ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর,তেহরান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তোহিদ আসাদি বলেন, ইসরায়েলি হামলার পর তেহরানের শাহরান তেল ডিপো থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে,যদিও ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান খুব বেশি হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.