যমুনা সেতুর উপর একাদিক দুর্ঘটনায় ৫টি গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা এলাকা থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী যাত্রী ও চালকরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে, পুলিশ ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন যানজট নিরসনে কাজ করছেন।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ ও সেতু পূর্ব থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে মহাসড়কের সেতু পূর্ব থানা এলাকা, যমুনা সেতুর উপর পর পর বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এতে ৪/৫ টি যানবাহন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর ফলে মধ্যে রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত কয়েক দফায় টোল আদায় বন্ধ রাখা হয় এবং দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলো সরাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে মহাসড়কের যমুনা সেতু পূর্ব টোল প্লাজা থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত ও বিকল গাড়িগুলো সরানো হলে ভোর থেকে টোল আদায় শুরু হয় ও ধীর গতিতে গাড়ি চলছে।
সবশেষ শনিবার ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত যমুনা সেতু পূর্ব টোল প্লাজা, গোল চত্বর, সেতু পূর্ব ইব্রাহীমাবাদ ও জোকারচর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যানজটে আটকা পড়েছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা। তীব্র গরমে দুর্ভোগ পড়েন তারা। মাঝে মধ্যে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। তবে, বেলা ৮টার পর থেকে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল শুরু করে।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, যমুনা সেতুর ওপর গত বৃহস্পতিবার রাতে দুর্ঘটনা ও পর পর ৪/৫টি যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে। সেগুলো সরাতে কয়েক দফায় সেতুর উভয় অংশে সাময়িক টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে সেগুলো দ্রুত সেতুর ওপর থেকে অপসারণ করা হলে ভোর থেকে টোল আদায় চালু করা হয়। আশা করছি কিছু সময়ের মধ্যে যানজট কমে আসবে এবং স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করবে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, দুর্ঘটনার কারণে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে এবং মহাসড়কে গাড়ির দীর্ঘদিন লাইন থাকলেও ধীরগতিতে চলাচল করছে। দ্রুতই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.