ঈদ-উল আজহা মুসলমানদের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও তাতপর্য পূর্ণ উৎসব যেখানে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ একত্রিত হয় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য। এ দিনটিতে সামর্থ্যবান তথা যাদের নেসাব পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত আছে সেই ব্যক্তি মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় পশু কুরবানি করে এবং সেই কুরবানীকৃত পশু গোশত নিজে খায় এবং গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত উম্মাহর মধ্যে বিতরন করেন।
সবার পাশে আমরা ফাউন্ডেশন প্রতি বছর একটি ভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করে অসহায় দরিদ্র শ্রেনীর পরিবারেদ জন্য। তারা প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ঢাকায় একটি গরু কুরবানী করে সেই পশুর গোস্ত প্রায় ১১৮ টি দরিদ্র এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে পৌঁছে দিয়েছে,যেখানে প্রতি পরিবারে সদস্য সংখ্যা ১-৪জন হলে ১কেজি,৫-৮জন হলে ২কেজি এমন অংশে পেয়ে থাকে। সবার পাশে আমরা ফাউন্ডেশন এর প্রধান উদ্যোক্তা দের মাঝে মুহাম্মদ আবুল বাহার ফারাহ্ জানান “আমরা সাধারনত এমন পরিবারের মাঝে এই কুরবানির গোস্ত বিতর করি যারা কারো কাছে লজ্জায় কুরবানীর গোশত চাইতে পারে না কিন্তু তাদের পরিবারে গোস্ত কেনার সামর্থ নেই আমরা মূলত তাদের কাছেই গোশত পৌঁছে দেই”।
এই সংগঠনের আরেক উদ্যোক্তা তৌকির আহন্মদ জানান “আমরা সারা বছর ধরে খুজে খুজে সেই সকল পরিবারের তালিকা তৈরী করি যে পরিবারে রমজান মাসে বা ঈদুল আজহা তে বিশেষ খাবারের চাহিদা থাকে কিন্তু লজ্জায় কারো কাছে চাইতে পারে না”।
মূলত এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হল কুরবানীর দিনটিতে যেন সকল মানুষে এক সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে এবং গোশত খাওয়া উপভোগ করতে পারে ।
সবার পাশে আমরা ফাউন্ডেশনের প্রধান উদ্যোক্তা মোহাম্মদ শফিকুল আশরাফ তুহিন বলেন, কুরবানীর উদ্দেশ্য হল ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন আর তাই বিগত কয়েক বছর ধরে কুরবানীর গোশত বিতরণ করছি দরিদ্র ও অসহায় পরিবারদের মাঝে। এই কাজ করতে যেয়ে দেখেছি এসকল মানুষের চোখে মুখে গোশত খেতে পারার তৃপ্তির আমেজ।
তিনি আরও বলেন, এমনও অনেক পরিবার আছে যারা সম্মানের ভয়ে লজ্জায় কারো কাছে গোশত চাইতে পারে না, আমরা আলহাদুলিল্লাহ গোপনীয়তার সাথে তাদের বাড়িতে গোশত পৌঁছে দেয়া ব্যবস্থা করেছি এবং বিগত বছর গুলোতেও একি কাজ করে এসেছি”।
উল্লেখ, সবার পাশে আমরা ফাউন্ডেশনটি ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রধান উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে- মুহাম্মদ শফিকুল আশরাফ তুহিন, মো:আবুল বাহার ফারাহ্, জাহিদ হাসান অনিক,মুহাম্মদ তৌকির আহম্মদ, কাউসার আহম্মদ হুমায়ুন, মেহেদী হাসান লিয়ন, শামীমা আক্তার নিম্মি এবং প্রয়াত আফরার মেহেজাবিন খান রাথী।
ফাউন্ডেশনটি বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। এটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই পবিত্র ঈদুল ফিতরে এমন পরিবার গুলোতে ঈদের বাজার দেয়া হয়, ২০১৭ সাল থেকে ঈদে গরু কুরবানি করে এর গোস্ত বিতরন করা হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.