পাচার হওয়ার টাকা ফেরত আনা-অত সহজ হবে না। সময় লাগবে তবে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাব দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, যারা অর্থপাচার করে তারা খুবই বৃদ্ধিমান। বিভিন্ন ধাপে ধাপে অর্থপাচার করা হয়েছে। পাচার হওয়ার টাকা ফেরত আনা অত সহজ হবে না। সময় লাগবে, তবে সরকারও চেষ্টা করে যাচ্ছে। নাইজেরিয়ার তাদের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে ২০ বছর লেগেছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আসলে হয়তো উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তার প্রয়োজন হতো না। আইএমএফের কাছে যেতে হতো না।
প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনেকেরই প্রশ্ন কালো টাকা (অপ্রদর্শিত আয়) ঢালাওভাবে সাদা করতে দেওয়া হচ্ছে। কালো টাকা কিন্ত কালো টাকা না, অপ্রদর্শিত অর্থ। কোনো কারণে হয়তো রয়ে গেছে বা প্রদর্শন করা হয়নি। শুধুমাত্র ফ্ল্যাটের বিষয়ে একটা বিধান নেওয়া হয়েছে। কালো টাকার দুটি দিক, একটা হলো টাকা বৈধ হওয়া, অন্যটি হলো সরকারের এর মাধ্যমে কিছু রাজস্ব পাওয়া। তবে বাজেটে কালো টাকার বিষয়টি ভেবে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত সম্পদ বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখলেও-সেজন্য করের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে। আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এজন্য কর বাড়ানো হয়েছে পাঁচগুণ পর্যন্ত।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন। অর্থ সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.