উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেলেও আয়করে ছাড় পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। বাড়ছে না ব্যক্তিপর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা। আগামী অর্থবছরেও করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বহাল।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে এই প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ । তিনি আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতির কাছে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট তুলে ধরেছেন। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থ বছরের মোট বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়। এর মধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাওয়ায় করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছিলেন অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু অর্থমন্ত্রী তাতে সাড়া দেননি। তবে পরের দুই অর্থবছরের (২০২৫-২৭ ও ২০২৭-২৮) অর্থবছরের জন্য তা করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
জুলাই যোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে ঘোষিত বাজেটে।
অন্যান্য ক্ষেত্রে করের স্তর ও হার অপরিবর্তিত থাকবে।
বর্তমানে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নারী ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ লাখ টাকা।
বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের আয়কর নিম্নরূপ—
১. ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত
২. পরবর্তী ১ লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ
৩. পরবর্তী ৪ লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ
৪. পরবর্তী ৫ লাখ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ
৫. পরবর্তী ৫ লাখ টাকার ওপর ২০ শতাংশ
৬. পরবর্তী ২০ লাখ টাকার ওপর ২৫ শতাংশ
৭. অবশিষ্ট টাকার ওপর ৩০ শতাংশ
তবে স্বাভাবিক ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের ক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণ ১ লাখ টাকা অতিক্রম করলেই ন্যুনতম ৫ হাজার টাকা কর দিতে হবে। অন্যদিকে নতুন করদাতাদের ক্ষেত্রে ন্যুনতম করের পরিমাণ হবে ১ হাজার টাকা।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.