রাজনৈতিক দল হিসেবে বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আপিলের রায় আজ। রোববার (১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যদের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। বিষয়টি কার্যতালিকার শীর্ষে রয়েছে।
এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। দলটি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করলেও ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শুনানীতে তাদের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় সেটি খারিজ করে দেওয়া হয়। জামায়াতের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের অক্টোবরে আদালত আপীলটি পনরুজ্জীবিত করেন।
এর আগে, ১৪ মে চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। ওই দিন জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
চলতি বছরের ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়।
গত বছরের ২২ অক্টোবর নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে ফের আইনি লড়াই শুরু করে জামায়াত।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আলী আজম।
এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর দলটির নিবন্ধন বাতিলে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। ফলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.