চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ইএসজি (এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স) বুটক্যাম্প ২০২৫। সাস্টেনেবিলিটি প্রফেশনালস, ইন্ডাস্ট্রি লিডারস ও নামীদামী ব্র্যান্ডদের এতে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন এবং স্পন্সরশীপের সুবর্ণ সুযোগ চালু হয়েছে।
ইএসজি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ব্র্যাক সিডিএম, রাজেন্দ্রপুরে আগামী ২০ থেকে ২২ জুন চলবে এই বুটক্যাম্প। তিন দিনব্যাপি এই আয়োজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ইএসজি ও সাস্টেইনেবিলিটি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন, নেটওয়ার্কিং এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনের এক অনন্য সুযোগ হয়ে উঠবে।
এছাড়াও এখানে দেশের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে পেশাজীবীরা দেশ ও বিদেশের এক্সপার্টদের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন কেস-স্টাডি, টুলকিট, পারফর্ম্যান্স মেট্রিক্স এবং স্ট্র্যাটেজি শেখানোর মাধ্যমে ব্যবসায়িক উন্নয়নে সহায়তা করাই প্রোগ্রামটির মূল লক্ষ্য।
দেশের পাঁচটি প্রধান খাত; রেডি মেড গার্মেন্টস (আরএমজি), এফএমসিজি ও টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নৌ-শিল্প এবং ওষুধ শিল্পের ২০০-এর অধিক পেশাজীবী প্রোগ্রামে অংশ নিবেন। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা ইএসজি স্ট্র্যাটেজি, প্রয়োজনীয় টুলস এবং কেপিআই সংক্রান্ত বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করবেন, যা তাঁদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে টেকসই ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশি ইএসজি এক্সপার্ট, সরকারি উপদেষ্টা ও কর্পোরেট লিডারদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ইএসজি এক্সপার্টগণ বুটক্যাম্পে অংশ নিবেন। সেখানে বিভিন্ন সেক্টরের জন্য স্পেশালাইজড ওয়ার্কশপ, ইন্টার্যাকটিভ ল্যাব এবং কেস-স্টাডি আলোচনা হবে। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা আইএসও, জিআরআই, আইএফআরএস, ইএসজি নীতিমালা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
প্রোগ্রামে সরকারের নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, উন্নয়ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। অংশগ্রহণকারীরা ইএসজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর মধ্যে ইএসজির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও বাস্তবভিত্তিক ধারণা লাভ করবেন।
ইএসজি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক সাদমান সাকিব অনিক, সিএসআরএম™ বলেন, “ইএসজি বুটক্যাম্প ২০২৫ শুধুমাত্র একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নয়, এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের পূর্বাভাস। আমাদের লক্ষ্য হলো—কারিগরি সহায়তা, উন্নত ধারণা এবং নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকসই অর্থনীতিতে টিকে থাকা ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা। আমরা বিশ্বাস করি, কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়—তাহলেই টেকসই পরিবর্তনের সুবাতাস বইবে।”
সীমিত আসনের কারণে আগ্রহীদের দ্রুত রেজিস্ট্রেশন ও স্পন্সরশিপের সুযোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.