পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া পাঁচ নির্দেশনার বাস্তবায়নের নানা দিক নিয়ে বৈঠক করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার মাকসুদ রাশেদ।
সোমবার (১৯ মে) অর্থমন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান আলোচিত নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের সময়সীমাসহ নানা দিক উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন।
এর আগে সোমবার বিএসইসির পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়ে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সময়সীমা জানানো হয়।
বিএসইসির চিঠি অনুসারে, বিদেশি মালিকানাধীন বা বহুজাতিক কোম্পানিতে থাকা সরকারের শেয়ার পুঁজিবাজারে ৩ মাসের মধ্যেই বিক্রি করা সম্ভব। এর বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
বেসরকারি খাতের ভাল ও বড় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার জন্য তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা প্রয়োজন। আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই সেটি সম্ভব হতে পারে।
বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ দল এনে পুঁজিবাজারের সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও ৩ মাসের মধ্যে সম্ভব।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় লাগতে পারে।
অন্যদিকে দেশের বৃহঁ কোম্পানিগুলোর দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের ক্ষেত্রে বন্ড ছেড়ে বা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নীতিমালা করার জন্য ৬ মাস সময় প্রয়োজন। বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বিত উদ্যোগে এটা করতে হবে।
উল্লেখ, পুঁজিবাজারের টানা মন্দার প্রেক্ষিতে গত ১১ মে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা, বিএসইসির চেয়ারম্যান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব প্রমুখ অংশ নেন। ওই বৈঠকে আলোচিত নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.