বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সাধারণ আমানতকারী ও দরিদ্রদের ক্ষতিপূরণ দিতে অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারে অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অর্থ ও সম্পত্তি দিয়ে একটি তহবিল গঠন করা হবে। এই তহবিলে অভিযুক্তদের কাছ থেকে জব্দ করা বিভিন্ন ব্যাংক ও কোম্পানির শেয়ারসহ জব্দ করা সম্পত্তিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই ফান্ড ক্ষতিগ্রস্তদের, বিশেষ করে আর্থিক অনিয়মের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের দিতে জনস্বার্থে ব্যবহার করা হবে। তদন্ত বা বিচারাধীন ব্যক্তিদের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে গচ্ছিত বিপুল পরিমাণ অর্থ আমরা জব্দ করেছি। এ ছাড়া যারা পালিয়ে গেছেন বা যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে আমরা তাদের শেয়ারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি।
সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিএফআইইউ প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পারস্পরিক আইনি সহায়তার মাধ্যমে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, অর্থ উদ্ধারে আমাদের অগ্রগতি, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি এবং আইনি বাধা দূর করতে সম্ভাব্য কৌশল নিয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে চার-পাঁচ বছর লেগে যাবে। তবে এক বছরের মধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা যাবে। জব্দ হওয়া সম্পদ কীভাবে প্রস্তাবিত ফান্ডে স্থানান্তর করা যায় এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবস্থাপনা করা যায় তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানান তিনি।
গভর্নর বলেন, ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বড় ব্যাংক। ব্যাংকটিতে এস আলম গ্রুপের ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার জব্দ আছে। এই শেয়ার একটা স্ট্রাটেজিক বিনিয়োগকারীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। জব্দের অর্থ আমানতকারীদের ফেরত দেওয়া হবে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সংযুক্ত আছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা, বৈদেশিক সংযুক্ত ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং ৪২ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ অবস্থায় রয়েছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.