স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর সঙ্গে দেশের পুঁজিবাজারের অংশীজনদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর আগারগাঁও-এ বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসির কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসির কমিশনার মোঃ আলী আকবর, বিএসইসির কমিশনার জনাব ফারজানা লালারুখ এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ ও পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঢাকা সীক এক্সেচেঞ্জ পিএলসি (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই), ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), মায়েন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন যার মধ্যে ডিএসই’র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিএসই’র পরিচালক শাকিল রিজভী, ডিএসই’র পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও, ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ, ডিবিএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন, বিএমবিএ এর প্রেসিডেন্টী মাজেদা খাতুন, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, আইসিবি’র মহাব্যবস্থাপক মাহমুদা আক্তারসহ আরো অনেকে সায় পুঁজিবাজারের অংশীজন হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

বেশের পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে উক্ত সভায় আলোচনা হয়। সভায় পুজিবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে হওয়া সভা ও তার নির্দেশনার বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের ব্যবধান ধানতম ১০ শতাংশ করা, পুঁজিবাজারে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আমের উপর আরোপিত কর মওকুফ করা, পরিকল্পনা অনুসরণ করে নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যার উত্তরণ ও স্থায়ী সমাধান করা, বিও হিসাবে মেইনটেইন্যান্স ফি মওকুফ করা, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স মওকুফ করা, ব্রোকারদের টার্নওভারের উপর প্রদত্ত অগ্রিম কর (AIT) হ্রাস করা, দেশের ভাল মৌলভিত্তি সম্পন্ন বৃহৎ দেশীয় কোম্পানি, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি কিংবা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ, সরকারী সিকিউরিটিজ (Government Securities) এবং নিলাম (auction) পুঁজিবাজারের এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে আনয়ন, সিকিউরিটিজ হাউজে থাকা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইত্যাদি বিষয়ে গঠনমূলক এবং সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের হতে প্রাপ্ত আয়ের অর্থের ব্যবহার বিষয়ে ফলত্রসূ আলোচনা হয়। সভায় ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালত নিরঞ্জন চন্দ্র বেদনাথ বিনিয়োগকারীদের কল্যাণে মিউচ্যুয়াল ফান্ডসমূহের চলতি প্রথবছরের অর্জিত আয়ের ২০ শতাংশ প্রভিশনিং করে বাকী ৮০ শতাংশ ইউনিটহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে প্রদান করার প্রস্তাব দেন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.