সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সাথে সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠকের সময় তাকে পাঁচটি শর্ত বা নির্দেশনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিয়াভিট এ তথ্য দিয়েছেন। ট্রাম্প যে পাঁচটি শর্ত বা নির্দেশনা সিরিয়াকে দিয়েছেন সেগুলো হলো-
ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আব্রাহার অ্যাকর্ড বা আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করা।
সব ‘বিদেশি সন্ত্রাসী’কে সিরিয়া থেকে চলে যেতে বলা।
‘ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী’দের সিরিয়া ত্যাগে বাধ্য করা।
কথিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপের পুনরুত্থান বন্ধের যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করা।
উত্তরপূর্ব সিরিয়ায় এই গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত ডিটেনশন সেন্টারগুলোর দায়িত্ব নেয়া।
প্রসঙ্গত, আব্রাহাম অ্যাকর্ড হলো আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইসরায়েল, আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মধ্য একটি চুক্তি, যা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এ চুক্তিটি হয়েছিলো ইসরায়েলের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্য নিয়ে।
এর আগে সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১৪ মে) দীর্ঘ ২৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার নেতাদের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠকের আগের দিন মঙ্গলবার (১৪ মে) এই ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক হয়। এরপর ট্রাম্প বলেন, আমরা সিরিয়াকে একটি নতুন সূচনা দিতে চাই। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সাক্ষাৎ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথে একটি বড় অগ্রগতি।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.