দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার (১০ মে) রাত ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আপাতত সাময়িকভাবে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আজ উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধনী অনুমোদিত হয়। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এ অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয়। তার আহ্বানে সাড়া দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
পরদিন শুক্রবার (৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। সেখানে মঞ্চ বানিয়ে বিভিন্ন দাবি ও স্লোগান দিয়ে সরকারকে আলটিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিকাল ৫টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।
পরে বিকালে এ দাবির বিষয়ে মুখ খোলে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে সরকাা।র
X
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.