গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। ওই হামলার জন্য পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ভারত। এর ঠিক ১৫ দিন পর বুধবার মাঝরাতের কিছু পরে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে আকাশপথে হামলা চালায় ভারত। তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন সিন্দুর’।
ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ৮ ও ৯ মে রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পুরো পশ্চিম সীমান্তে আক্রমণ করেছে। ভারতের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভারত-শাসিত কাশ্মীরের জম্মু, উধমপুর ও পাঞ্জাবের পাঠানকোটে ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। ভারত-শাসিত কাশ্মীরে কোনো হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
বৃহস্পতিবার রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরে রেড অ্যালার্ট জারি করে এবং বেসামরিক প্রশাসন ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করে, যার ফলে রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না এবং মানুষ আতঙ্কিত ছিল।
শুক্রবার সকালেও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে হয়েছে। এখনো পর্যন্ত হতাহতের আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে এবং পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। খবর- বিবিসি বাংলার
পাকিস্তান এর আগে দাবি করেছিল যে, তারা ২৫টি ভারতীয় ড্রোন ও পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। ভারত এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি, তবে তারা দাবি করেছে- পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.