দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ল পাকিস্তান ক্রিকেট লিগেও। শুরুতে পুরো আসর করাচিতে সরিয়ে নেয়ার ভাবনা থাকলেও বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রস্তাবে পিএসএলের বাকি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
যদিও টুর্নামেন্টের বাকি থাকা ৮ ম্যাচের ভেন্যু ও পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনও চূড়ান্ত করেনি পিসিবি। শিগগিরই তা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এর আগে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থগিত করে দেওয়া হয় পেশাওয়ার জালমি ও করাচি কিংসের মধ্যকার রাতে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচ। এরপর আবারও জরুরী সভায় বসে পিসিবি। কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা জেরে ৭ মে রাতে পাকিস্তানের সীমানে বেশ কিছু জায়গায় হামলা চালায় ভারত। এরপর ভারতেও পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার ঘটনা প্রভাবে নেয় নতুন মোড়। পাকিস্তানের বেশ কিছু জায়গায় ড্রোন হামলা করে ভারত।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশে থাকা একটি রেস্টুরেন্টও। এরপরই মূলত পিএসএলে খেলতে থাকা বিদেশি ক্রিকেটাররা শঙ্কিত অনুভব করেন। দুপুরে পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভির সঙ্গে আলোচনায় বসেন ৪২ বিদেশি ক্রিকেটার।
পিসিবি এক বিবৃতিতে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে। মহসিন নাকভি সেখানে বলেছেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সবসময়ই খেলাধুলা ও রাজনীতিকে আলাদা রাখার পক্ষে। তবে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম লক্ষ্য করে ভারতের চরম দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে, যা স্পষ্টই পিএসএলকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে, পিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হবে।’
পিএসএলে খেলছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের দুজন সাংবাদিকও সেখানে অবস্থান করছেন। বিসিবি নিয়মিত তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছে। পিসিবিও তাদের সবরকমের সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাকভি। তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত আমাদের স্থানীয় এবং বিদেশি ক্রিকেটারদের, যারা আমাদের সম্মানিত অতিথিও, তাদের ওপর সম্ভাব্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা থেকে সুরক্ষা দিতে নেওয়া হয়েছে। অতীতে বহু প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ক্রিকেটের অগ্রযাত্রা ধরে রাখা দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের জন্য ক্রিকেটারদের মানসিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি ছিল।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.