এবার দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদ গতকাল বুধবার মধ্যরাতে দেশ ত্যাগ করেছেন।
বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি অনুসারে, রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে তারা তিনজন ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ড. এএম নওশাদ ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দেশছাড়ার সবুজ সংকেত পান সাবেক রাষ্ট্রপতি।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সরকার পতনের পর আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা এবং সুবিধাভোগী আমলা-ব্যবসায়ী ও পুলিশ কর্মকর্তা বৈধ ও অবৈধভাবে দেশ ছেড়েছেন। তবে এতদিন দেশেই ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের দুবারের রাষ্ট্রতি আব্দুল হামিদ। অবশেষে তিনিও দেশ ছাড়লেন।
উল্লেখ্য, আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের সময় ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অন্তত একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
তবে হত্য মামলা থাকলেও আব্দুল হামিদের দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তার বিদেশ যাওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো বাধা দেয়নি বলে জানা গেছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.