পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ভারত। হামলায় পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিক ও মসজিদকে ভারত হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছিলো বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
ভারতের আঘাত হানা ‘অপারেশন সিন্দুর’ প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভারত পাকিস্তানের মসজিদগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এটি মোদী সরকারের আমলে বেড়ে ওঠা সংকীর্ণ মানসিকতার প্রতিফলন- যেখানে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলমানদের টার্গেট করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আরও বলেন, এটি মনে রাখা জরুরি যে যেসব স্থানে হামলা হয়েছে, সেগুলোতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম আগের দিন গিয়েছিলো। তারা দেখেছে যে ওই স্থানগুলোতে বেসামরিক মানুষজন অবস্থান করছিলো।
তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানে ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি কমব্যাট ড্রোন ভূপাতিত করেছে। হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সবচেয়ে বড় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর শহরে, যেখানে একটি মসজিদে হামলায় ১৩ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে দুটি তিন বছরের শিশুকন্যাও রয়েছে। পাঞ্জাবের মুরিদকে ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কোটলি এলাকায়ও হামলা হয়েছে। কোটলির এক মসজিদে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীসহ আরও কয়েকজন নিহত হন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.