সরকারের একটি অংশ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ উসকে দিতে চায়: তারেক

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ উসকে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আন্তর্জাতি শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুপরিকল্পিতভাবে বিরোধ উসকে দিতে চায়। গণতন্ত্রকামী জনগণের মনে এ ধরনের বিশ্বাস জন্ম নিতে শুরু করেছে।

একইসঙ্গে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্র স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদের কবলে পতিত হলে গণবিপ্লব কিংবা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেও ফ্যাসিবাদী সরকারের পরিবর্তন হয়। তত্ত্বাবধায়ক কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই ধরনের বিশেষ পরিস্থিতির সরকার অবৈধ নয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতির সরকার কখনই জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নয় এবং বিকল্প হতে পারে না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে গঠন হওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলো নিঃশর্ত সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সমর্থন দেওয়া যৌক্তিক নয়। এছাড়া মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডোর করার বিষয়ে সরকারের যে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

“দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের সাথে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার” জনগণকে এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোকে জানায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবিষয়ে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা আসতে হবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমেই। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, বিদেশিদের স্বার্থে নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান কিংবা অন্য কোনও দেশ নয়, সবার আগে বাংলাদেশ- এটিই হতে হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.