চট্টগ্রাম টেস্টে তাইজুল ইসলাম-নাঈম হাসানদের অনবদ্য বোলিংয়ের সামনে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে তারা। সফরকারীদের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন নিক ওয়েলচ এবং শন উইলিয়ামস।
বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রথম ইনিংসের সূচনা করে জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডে মেজাজে খেলে প্রথম ১০ ওভারে ৩৯ রান করেছে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। ইনিংসের ১১তম ওভারেই অবশ্য উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। টেস্ট অভিষেকে বেনেটকে ফিরিয়ে উইকেটের দেখা পান তানজিম হাসান সাকিব। তার কোয়ার্টার লেংথের ডেলিভারিটি স্কয়ার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বেনেট, যদিও পায়ের কোনো মুভমেন্ট ছিল না। অতিরিক্ত বাউন্স পাওয়া বলটি বেনেটের ব্যাটে লেগে অনেকটা প্রথম স্লিপের দিকে যেতে থাকে। অষ্টম ওভারে কারানের ক্যাচ মিস করা সাদমান ইসলামকে সুযোগ না দিয়ে ডান দিকে মোড় নিয়ে সেটি লুফে নেন জাকের আলী অনিক। ফেরার আগে ৩৩ বলে ২১ রান করেন বেনেট। ৪১ রানে ভাঙে জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি।
জীবন পেয়েও অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি কারান। ১৯তম ওভারে তাইজুল বোলিংয়ে আসলে তার ষষ্ঠ স্টাম্প তাক করা বলটি টার্ন করলে স্টাম্প হারান কারান। ফেরার আগে তিনি করেন ৫০ বলে ২১ রান। ৭২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মধ্যাহ্নভোজ বিরতির আগে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি ওয়েলচ এবং উইলিয়ামস। তখন পর্যন্ত ২৮ ওভারে দুই উইকেটে ৮৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর ৩২তম ওভারে একশ স্পর্শ করে জিম্বাবুয়ের রান। বাংলাদেশের স্পিনারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন ওয়েলচ এবং উইলিয়ামস। ১৩০ বলে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন এই দুজন।
দেখেশুনে খেলতে খেলতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওয়েলচ এবং উইলিয়ামস। দুজনই বেশ ছন্দে ব্যাটিং করছিলেন। ১০৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ওয়েলচ। এর একটু পরই, পঞ্চাশতম ওভারে দেড়শ রান স্পর্শ করে জিম্বাবুয়ে। এর একটু পর, ১১৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন উইলিয়ামস। ওয়েলচের দ্বিতীয় এবং উইলিয়ামসের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি এটি। চা-বিরতির আগে, ৫৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় দুই উইকেটে ১৬১।
একদম সকাল থেকে ক্র্যাম্পের সঙ্গে লড়াই করছিলেন ওয়েলচ। শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইয়ে হার মেনে নিয়ে চা-বিরতির পর প্রথম ওভারেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.