শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম মিয়া ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (সিএসই) প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল পদত্যাগ করেছেন। একইসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সব ডিন ও বিভাগীয় প্রধান।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
তবে তাদের পদত্যাগে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। বরং নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, তারা শুধু ভিসি এবং সিএসই বিভাগের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি ও শিক্ষার্থীদের ব্ল্যাকমেইল করার উদ্দেশ্যে ভিসি চাপ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির সব ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের পদত্যাগ করিয়েছেন। তারা ভিসি ও সিএসই ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ছাড়া বাকীদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, অন্যান্য শিক্ষকদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার রাতে শিক্ষার্থীরা ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। রাত সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আর নিজ নিজ দপ্তরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন পদত্যাগ করা উপাচার্য, ডিন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম মিয়া ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল হুদা ছাড়া বাকি ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালকদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলেই তারা কর্মসূচি তুলে নিয়ে ক্লাসে ফিরে যাবে।
এর আগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করায় সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নুরুল হুদাকে চাকরি থেকে অব্যাহতিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানায় তারা শনিবার দুপুর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন।
রাত ৯টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়া পদত্যাগ করেন। তার সঙ্গে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সব ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালকরা। একযোগে এমন পদত্যাগে নারাজ শিক্ষার্থীরা। তারা এখন উপাচার্য ও সিএসই বিভাগের প্রধান ছাড়া বাকিদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.