নিজ দেশের এয়ারলাইনসগুলোকে ভারতের নির্দেশনা

ভারতের এয়ারলাইনসগুলোকে ‘আবশ্যিক নির্দেশনা’ জারি করেছে দেশটির বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন)। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ভারতীয় উড়োজাহাজগুলোর জন্য বন্ধ করে দেওয়া পর ভারতের উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে দিল্লি থেকে পশ্চিমা দেশগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইনসগুলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এয়ারলাইনসগুলোকে যাত্রীদের চেক-ইন সময়েই জানাতে হবে যে তাদের রুট পরিবর্তন হয়েছে, ফ্লাইট সময় বেড়েছে এবং মাঝপথে জ্বালানি নেওয়ার জন্য ও ক্রু পরিবর্তনের জন্য বিরতি নিতে হতে পারে। পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ভারতীয় উড়োজাহাজগুলোর জন্য বন্ধ করে দেওয়ায় এসব ফ্লাইটে ‘দীর্ঘ সময় এবং কারিগরি বিরতি’ লাগবে।

ডিজিসিএ-এর সিএফও ক্যাপ্টেন শ্বেতা সিং স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এ ধরনের বিরতির সময় যাত্রীদের সাধারণত বিমানেই থাকতে হবে।

তাই এয়ারলাইনসগুলোকে তাদের খাবারের প্রস্তুতি নতুন করে সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে পুরো যাত্রার সময় যথেষ্ট খাবার ও পানীয় মজুদ থাকে। এয়ারলাইনসগুলোকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যে যেসব বিমানবন্দরে কারিগরি বিরতি হবে, সেগুলোতে জরুরি চিকিৎসাসেবা ও অ্যাম্বুল্যান্স সুবিধা থাকতে হবে।

দিল্লি, অমৃতসর, চণ্ডীগড় ও লখনউ থেকে পশ্চিমমুখী (যেমন- ইউএই, সিআইএস, ওয়েস্ট এশিয়া, ইউরোপ, যুক্তরাজ্য এবং উত্তর আমেরিকা) ফ্লাইট পরিচালনা করে এমন ভারতীয় এয়ারলাইনসগুলো হলো— এয়ার ইন্ডিয়া গ্রুপ, ইন্ডিগো এবং স্পাইসজেট।

এয়ার ইন্ডিয়ার একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের উত্তর আমেরিকার নন-স্টপ ফ্লাইটগুলো কোনো কোনো দিন একটানা যেতে পারবে, আবার কখনো মাঝপথে বিরতি নিতে হতে পারে।

তবে সেটি নির্ভর করবে প্রতিদিনের আবহাওয়া ও বিমানের ধারণক্ষমতার ওপর।

প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত। গত বৃহস্পতিবার তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে আকাশসীমা বন্ধসহ আটটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় এখন থেকে ভারতের মালিকানাধীন বা ভারত নিয়ন্ত্রিত কোনো বিমান পাকিস্তানের ওপর দিয়ে যেতে পারবে না।

বিমান চলাচলের জন্য পাকিস্তানের আকাশ ভারতকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।

এর ফলে ভারতের বিমান চলাচলে বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। বাড়তে পারে বিমানভাড়া। পাকিস্তানের ওপর দিয়ে না গেলে উত্তর ভারত থেকে পশ্চিমের দিকে বিমানগুলোকে যেতে হবে আরব সাগরের ওপর দিয়ে। এটিই প্রধান বিকল্প পথ।

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.