নেগেটিভ ইক্যুইটিতে সঞ্চিতি রাখায় ছাড়ের মেয়াদ বাড়ল

পুঁজিবাজারে স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের গ্রাহকের মার্জিন অ্যাকাউন্টে আনরিয়েলাইজড লস বা সৃষ্ট নেগেটিভ ইক্যুইটির উপর প্রভিশন সংরক্ষণে ছাড়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। অর্থাৎ আলোচিত সময় পর্যন্ত স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজাররা পর্যাপ্ত সঞ্চিতি না রাখলেও তা আইনের লংঘন হিসেবে বিবেচিত হবে না।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এর আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৯৫৩তম কমিশন সভায় আলোচিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

নেগেটিভ ইক্যুইটির বিপরীতে প্রভিশন বা সঞ্চিতি রাখার শর্ত শিথিল করলেও এই সুবিধা গ্রহণ করার জন্য স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের কিছু শর্ত পরিপালন করতে হবে। শর্ত অনুসারে, এ সুবিধা গ্রহণ করার জন্য যে সকল স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার এর নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লস রয়েছে তাদের প্রত্যেককে নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লসের উপর প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.