আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ তৌফিকার ৪২ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ অ্যাডভোকেট তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের ৩৮ ব্যাংক হিসাব  অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে মোট ৪১ কোটি ৬৫ লাখ ২২ হাজার ৩১৩ টাকা জমা আছে।

বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশনা দেন।

তৌফিকা করিমের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মোছাম্মৎ মাহফুজা খাতুন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তৌফিকা করিমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তৌফিকা সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের আস্থাভাজন হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিচারিক আদালতে নিয়োগ, বদলি, জামিনসহ বিভিন্ন অবৈধ বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ এবং অন্যান্য নামে বিপুল পরিমাণ আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এই অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসিতে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁর ব্যাংক হিসাবে যে পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে, তা তিনি অন্যত্র স্থানান্তর ও হস্তান্তর করতে পারেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। এই টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া না হলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে অথবা দীর্ঘায়িত হতে পারে।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তৌফিকা করিমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন একই আদালত। উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিচারাঙ্গনের অঘোষিত ‘নিয়ন্ত্রক’ ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম। প্রভাব খাটিয়ে আদালতের রায় ইচ্ছেমতো পক্ষে নিয়ে তদবির-বাণিজ্য করতেন তিনি। অনেকে আনিসুল হকের বান্ধবী হিসেবে তৌফিকা করিমকে চেনেন। তাকে আনিসুল হকের নিয়ন্ত্রণাধীন সিটিজেনস ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.