ভারতশাসিত কাশ্মীরের ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত পহেলগামের বৈসারণ উপত্যকায় বন্দুকধারীরা মঙ্গলবার হামলা চালায়। হামলায় এখন পর্যন্ত মোট ২৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মূলত পর্যটকদের নিশানা করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় বেছে বেছে পুরুষদের নিশানা করা হয়ছিল। এদিকে, ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গেছে, দেশটির ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) একটি দল ইতোমধ্যেই শ্রীনগরে পৌঁছেছে এবং আরও কয়েকটি টিমের সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি, দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও পহেলগাম পরিদর্শনে যাবেন।
এ ঘটনায় পাকিস্তান থেকে প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। একটি বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামলার শিকার ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছে বলেছেন, ‘পর্যটকদের প্রাণহানির ঘটনায় তারা খুব উদ্বিগ্ন। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠুন’- বলে প্রার্থনার কথা জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
এদিকে কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “সাধারণ মানুষের উপর হামলা কোনও পরিস্থিতিতেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার পক্ষ থেকে এক বার্তায় বলেছেন, “কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি। আমরা এই জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।” মোহাম্মদ ইউনূস তার বার্তায় ‘সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইতোমধ্যেই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এই হামলা নিয়ে কথা বলেছেন। খবর- বিবিসি বাংলার
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেন, “এই খবর শুনে আমি খুব মর্মাহত।” তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) এক পোস্টে লেখেন, “ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর, হামলায় আহতদের, ভারত সরকারের ও ভারতের সকল নাগরিকের প্রতি ইতালি তার সংহতি প্রকাশ করছে।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার এই হামলাকে “সম্পূর্ণভাবে বিধ্বংসী” বলে বর্ণনা করে ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবার এবং ভারতের নাগরিকদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
 
			
 
						

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.