মাগুরায় সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ২৭ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। এ সময় চার্জশীটভুক্ত চার আসামি-শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও ভাশুরের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুলসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।
জানা যায়, মামলাটিকে জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় প্রসিকিউশনকে আইনি সহায়তা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিউকিউটর অ্যাডভাইজর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে তিনিও অংশ নেন। শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মামলার অভিযোগপত্র, মূল আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীসহ অন্যান্য নথির ওপর ভিত্তি করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এহসানুল হক সমাজী বলেন, এই মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতের স্বার্থে বিচারক আসামিদের অবহিত করেন যে তারা চাইলে নিজেদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। আইনজীবী নিয়োগ করতে হলে কারাবিধি অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আসামিরা এই ঘটনার দায় স্বীকার করছেন কি না-বিচারক জানতে চাইলে আসামিরা অপরাধে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
আদালত সূত্র জানায়, মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/২ ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ), শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশ (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে ৮ বছর বয়সী শিশুটি ৬ মার্চ ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। পরে তাঁকে মাগুরা সদর হাসপাতাল, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পরে এতে হত্যার বিষয়টি যুক্ত হয়। মামলায় আসামি করা হয় শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও তাঁদের দুই ছেলেকে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.