দিনের দ্বিতীয় বলেই জিম্বাবুয়েকে উইকেট এনে দেন ব্লেসিং মুজারাবানি। তার অফ স্টাম্প তাক করা শর্ট ডেলিভারিতে পুল শট খেলতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়ক আগের দিনের করা ৬০ রান নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ১০৪ বলে সাতটি চারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। ১৯৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শান্ত ফেরার পর ৫৯.২ ওভারে দলীয় দুইশ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশ। এর একটু পর ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। তার উইকেটটিও নেন মুজারাবানি। তার গুড লেংথের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারি সামাল দিতে পারেননি মিরাজ। গালি অঞ্চলে দাঁড়ানো ব্রায়ান বেনেট ক্যাচটি লুফে নেন। ফেরার আগে ১৬ বলে ১১ রান করেন মিরাজ। অপরদিকে এটি মুজারাবানির পঞ্চম উইকেট। ১১ টেস্টের ক্যারিয়ারে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো পঞ্চম উইকেট পেলেন মুজারাবানি।
দলের রানের খাতায় আর এক রান যোগ করে ফিরে যান তাইজুল ইসলামও। তাকে ফেরান রিচার্ড এনগারাভা। এই পেসারের শর্ট লেংথের ডেলিভারি ব্যাকফুটে গিয়ে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক নিয়াশা মায়াভোকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তাইজুল।
প্রথমে আম্পায়ার আউট দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করে জিম্বাবুয়ে। মিরাজ-তাইজুল দ্রুত ফেরার পর জাকের আলী অনিকের সঙ্গে দলের হাল ধরেন হাসান মাহমুদ। এই দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশের লিড দেড়শ পার করে। একটু পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জাকের আলী অনিক। ১০৬ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। চার টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম।
এরপরের ওভারেই ফিরে যান হাসান। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার অফ স্টাম্প তাক করা বলে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হাসান। উইকেটে এসে পরের বলেই ফিরে যান খালেদ আহমেদ। মাসাকাদজার ফুল লেংথ ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন গোল্ডেন ডাক মারা খালেদ। ৭৮.১ ওভারে ২৫০ রান পার করে বাংলাদেশ। শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেয়া জাকের করেন ১১১ বলে ৫৮ রান। মুজারাবানিকে কাউ কর্নারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি।
এদিকে ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইতিবাচক সূচনা পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। বেন কারান এবং ব্রায়ান বেনেটের ব্যাটে দারুণ সূচনা পেয়েছে তারা। উইকেটের নেশায় হন্য হয়ে ঘুরলেও নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদরা সেভাবে কিছুই করতে পারেননি এখনো।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.