গাজায় ১৫ স্বাস্থ্যকর্মী হত্যাকে ‘পেশাগত ব্যর্থতা’ বলল ইসরায়েল

গাজায় গত মাসে অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে ইসরায়েলি গুলিবর্ষণে ১৫ ফিলিস্তিনি প্যারামেডিক নিহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে ইসরায়েল৷

দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, নির্দেশনা অমান্য ও ‘ভুল বোঝাবুঝি’র কারণে ১৫টি প্রাণ ঝরে গেছে৷

ইসরায়েল জানিয়েছে, গতমাসে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ১৫ ফিলিস্তিনি প্যারামেডিককে হত্যার ক্ষেত্রে ‘পেশাগত ব্যর্থতা’ ঘটেছিল৷

গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় ২৩ মার্চ ভোরে অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে তারা নিহত হন৷ বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা শুরু হলে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেয় ইসরায়েল৷

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তদন্তে তাদেরকে ‘মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে এমন দাবির পক্ষে’ কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷

‘তদন্তে একাধিক পেশাগত ব্যর্থতা, নির্দেশনা অমান্য ও পুরো ঘটনা জানানোর ব্যর্থতা শনাক্ত হয়েছে’- বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আইডিএফ৷

‘রাতের বেলায় দৃষ্টিগোচরতা কম’ থাকাটাও গুলি চালানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷ এই ঘটনায় একজন কমান্ডিং অফিসারকে রিমান্ডে এবং একজন ডেপুটি কমান্ডারকে চাকুরিচ্যুত করা হবে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েল৷ তবে কাউকে ফৌজদারি অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হবে কিনা জানায়নি৷

ইসরায়েলি তদন্তে আরো জানানো হয়েছে যে, নিহতদের মধ্যে ছয়জন হামাসের সদস্য কিন্তু এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়া হয়নি৷

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালালে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয় ও ২৫১ জনকে আটক করে হামাস৷ পরে ইসরায়েলের হামলায় এখন অবধি ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন৷

জাতিসংঘের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন অবধি গাজায় অন্তত ৪১২ জন সাহায্যকারী নিহত হয়েছেন৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, রয়টার্স

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.