রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে দ্বিমত বিএনপির

রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনে দ্বিমত জানিয়েছে বিএনপি। বেশকিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও অনেক বিষয়ে কাছাকাছি এসেছি। বিএনপি বাকশালে বিশ্বাস করে না। বিএনপি (একদল) যা বলবে তাই মানতে হবে এমনটা নয়।

রবিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সর্বোত্তম কিছুই হবে বলে আশা রাখি। ৫ম সংশোধনী চায় বিএনপি। মূলনীতিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার নিয়ে একমত বিএনপি। সংবিধানে বহুত্ববাদ নিয়ে সংশোধনীতে কমিশনের সঙ্গেও একমত।

তিনি জানান, ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে একমত বিএনপি। সংসদে নারীর আসন ১০০ করার বিষয়ে একমত বিএনপি। তবে পরবর্তী সংসদের পর, অর্থাৎ ত্রয়োদশ সংসদে কীভাবে নারীরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন তা সংসদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে বিএনপি।

সালাহ উদ্দিন আহমদ জানান, প্রার্থীর বয়স ২১ নিয়ে এখনও ঐকমত্যে পৌঁছায়নি বিএনপি। সরকার প্রধান ও পার্টি প্রধান একই ব্যক্তি এমন বিষয়ে দ্বিমত বিএনপির (এখানে অপশন চায় দল, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলের কাছে থাকাই অধিকতর গণতন্ত্রের চর্চা মনে করে বিএনপি)।

তিনি আরও বলেন, লিডার অব দ্য হাউজ কে হবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়েও কমিশনের সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে আমাদের। উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ সদস্য সংখ্যা নিয়ে একমত বিএনপি, কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় তারা নির্বাচিত হবে তা নিয়ে আলোচনা চলমান আছে। নতুন আইন প্রনয়ণ করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করার পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি। এনসিসি বিষয়ে একমত নই, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাষ্ট্র পরিচালনা দায় হয়ে যাবে। কেয়ারটেকার ছাড়া নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার হয় না, ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র জন্যই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত কেয়ার টেকার রাখা প্রয়োজন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.