মুমিনুল-শান্তর ব্যাটে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দিনের শুরুটা দেখেশুনেই করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। সাবধানী সূচনার মাঝ দিয়েই একবার বেঁচে গিয়েছেন জয়।

জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি জয়। ভেতরে ঢোকা বলটি প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন করেন মুজারাবানি। সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে ভিক্টর এনাউচির প্রথম ওভারেই ছন্দ হারান সাদমান। এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের গুড লেংথের বলে খোঁচা মেরে গালি অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন সাদমান ইসলাম। এ দিন ২৩ বলে ১২ রান আসে তার ব্যাটে।

স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন সাদমান, যদিও বল তার শরীর থেকে দূরে ছিল। শটটি কিছুটা আগেভাবে খেলে ফেলেন সাদমান। ব্রায়ান বেনেটের ডান দিক বরাবর সামনে এগিয়ে লুফে নেয়া ক্যাচটি আবারও পর্যবেক্ষণ করে সাদমানকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন আম্পায়াররা। ওপেনিং জুটিতে ৮.৩ ওভারে বাংলাদেশ করে ৩১ রান।

প্রথম ওভারের মতো নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেটের দেখা পান ভিক্টর এনাউচি। দলীয় ৩২ রানের মধ্যে জয়কেও ফেরান তিনি। তার গুড লেংথে আসা অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষকের মুঠোয় ক্যাচ তুলে দেন ডানহাতি ওপেনার জয়। ৩৫ বলে ১৪ রান আসে তার ব্যাটে। পরের ওভারে মুমিনুল হককে ফেরাতে পারতেন ব্লেসিং মুজারাবানি। তার শর্ট বলে সৃষ্ট লো বাউন্স লিভ করতে গিয়ে বলটি গ্লাভসে লাগান মুমিনুল। উইকেটের পেছনে ক্যাচ উঠলেও বাম দিকে ঝাঁপিয়ে সেটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন উইকেটরক্ষক নিয়াশা মায়াভো।

৩২ রানে দুই উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশ দলের হাল ধরেছেন মুমিনুল হক এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনই বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে ব্যাট চালাচ্ছেন। ২০ তম ওভারে রিভিউ নষ্ট করেছে জিম্বাবুয়ে।

এদিকে একাদশে তিন পেসার নিয়েছে বাংলাদেশ। তারা হলেন হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ ও নাহিদ রানা। দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন তাইজুল ইসলাম। এ ছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজও আছেন। স্বাগতিকদের মতোই তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভার সঙ্গে সুযোগ পেয়েছেন ভিক্টর এনাউচি।

বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী অনিক (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ, নাহিদ রানা।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: বেন কারান, ব্রায়ান বেনেট, নিকোলাস ওয়েলচ, শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ওয়েসলি মাধভেরে, নিয়াশা মায়াভো (উইকেটরক্ষক), ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ভিক্টর এনাউচি।

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.