জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত টাইমলাইন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী জুন-জুলাই মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে কবে ঘোষণা করা হবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন শপথ নেওয়ার পর থেকেই নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা ধরেই এগোচ্ছি। সেই পরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসে আসনের প্রশাসনিক নাম পরিবর্তনের কাজ চলছে। ভোটার তালিকার কাজ আমরা শেষের পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। দলের নিবন্ধনের কাজেও আমরা একটা পর্যায়ে এসেছি। নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য ছিল ৬১ লাখ ৮৮ হাজার নতুন ভোটার নিবন্ধন। এর মধ্যে নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৬৬ হাজার এবং বাদ পড়া ভোটার পুনরায় নিবন্ধিত হয়েছে ৪৩ লাখেরও বেশি। সব মিলিয়ে মোট ৬৩ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা জুনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত যেসব তরুণের বয়স ১৮ বছরে পৌঁছাবে, তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে এ জন্য বিদ্যমান আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন হবে, যা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের পদক্ষেপ এই প্রথম নেওয়া হচ্ছে।

আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, আইনের সংশোধনী পেলে সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন মাস তিনেকের মধ্যে শেষ করা যাবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ওয়ারকপ্ল্যানের প্রি-ওয়ার্ক আমরা শেষ করতে পারব। আশা রাখি আমরা, মুদ্রিত যে কর্মপরিকল্পনা, যেটি সাধারণত নির্বাচনের আগে ইসি প্রকাশ করে থাকেন, সেটি জুন-জুলাইয়ের দিকে প্রিন্টেড পেয়ে যাবেন।

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার জানান, এ যাবত তিনটি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে এবং অনেকেই সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে। ২০ এপ্রিল আবেদনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। গত কমিশনের সময় প্রায় ১০০টি আবেদন পড়েছিল।

নিবন্ধিত দলগুলোকে নিয়ে মত বিনিময় করা হবে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নিবন্ধিত দলগুলোকে নিয়ে যেন আমরা বসতে পারি সেজন্য আমরা গণবিজ্ঞপ্তটি জারি করেছি। ছয়মাস সময় লাগে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করতে। যেহেতু সরকার ঘোষিত টাইমলাইন অনুযায়ী আমরা কাজ করছি, সেহেতু আমরা আশা করি ২০ তারিখের ভেতরই নিবন্ধনের আবেদন পাব এবং যথাসময়ে কাজ শেষ করব।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.