ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের জ্যেষ্ঠ সদস্য আবু জুহরি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের যেকোনো প্রস্তাবকে আমরা স্বাগত জানাই কিন্তু নেতানিয়াহু যা চান তা হল হামাস আত্মসমর্পণ করুক।
আল জাজিরার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ফিলিস্তিনের বাইরে হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান সামি আবু জুহরি বলেন, ‘প্রতিরোধের নিরস্ত্রীকরণের দাবি আলোচনার অযোগ্য এবং এটি বাস্তবায়িত হবে না। প্রতিরোধের অস্ত্রের অস্তিত্ব দখলদারিত্বের অস্তিত্বের কারণেই,এবং এই অস্ত্র জাতি এবং তার অধিকার রক্ষার জন্য। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য যেকোনো চুক্তিকে ব্যর্থ করার জন্য অসম্ভব শর্ত আরোপ করেছেন। দখলদার শাসকগোষ্ঠী তাদের নতুন প্রস্তাবে যুদ্ধ শেষ করার কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি এবং কেবল তাদের বন্দীদের মুক্তি দাবি করেছে।’
ফিলিস্তিনের বাইরে হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান বলেছেন, আমরা যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে দখলদারদের প্রত্যাহারের বিনিময়ে এক ধাপে সমস্ত বন্দীদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। নেতানিয়াহু কেবল তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের হত্যার ক্ষেত্রে তার অপরাধের সহযোগী।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে মার্কিন সরকারের সাথে আমাদের সরাসরি কোনও যোগাযোগ নেই।’ আবু জুহরি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে উপস্থাপন করা প্রস্তাবটি একটি ইসরাইলি প্রস্তাব এবং প্রথমবারের মতো এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করার শর্ত হিসেবে প্রতিরোধের নিরস্ত্রীকরণ ঘোষণা করেছে। হামাসের শব্দভাণ্ডারে আত্মসমর্পণের কোন স্থান নেই এবং আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের ইচ্ছাকে চূর্ণবিচূর্ণ করা মেনে নেব না।’
আবু জুহরি বলেন, হামাস আন্দোলন আত্মসমর্পণ করবে না, সাদা পতাকা উত্তোলন করবে না এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে চাপের সমস্ত উপায় ব্যবহার করবে।’ পার্সটুডে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.