বামপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী লুইসা গঞ্জালেজকে হারিয়ে ইকুয়েডরে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছেন রক্ষণশীল দলের ড্যানিয়াল নোবোয়া। ৯২ শতাংশ ভোট গণনা হওয়া পর্যন্ত ৫৫ দশমিক আট শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালেও লুইসা গঞ্জালেজকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন নোবোয়া। অন্যদিকে, লুইসা দাবি করেন নির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়েছে। স্লোগানরত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইকুয়েডরের ইতিহাসে এটি কুৎসিততম ভোট জালিয়াতির ঘটনা। শেষ পাওয়া খবরে এখনো পর্যন্ত ৪৪ দশমিক এক শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি।
২০২৩ থেকে ইকুয়েডরে কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা পালন করে চলেছেন ন্যাশানাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন পার্টির নোবোয়া।
ভোটে জালিয়াতির সম্ভাবনার কারণে দুই প্রার্থী এবং লুইসার গুরু, সাবেক প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছিলেন। স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটদান চলেছে।
ইকুয়েডরে ভোট দেন এক দশমিক তিন কোটি মানুষ। এদেশে ৬৫ বছরের নিচে সকলের ভোটদান বাধ্যতামূলক। অন্যথায় ৪৬ মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা দিতে হয়। ১৬ এবং ১৭ বছর বয়সি ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য ভোটদান বাধ্যতামূলক নয়।
দুই প্রার্থী কর আরোপ এবং মিতব্যয়ী নীতি পালন করলে ২০২৫-এ অর্থনীতি চার শতাংশ বৃদ্ধির মুখ দেখবে বলে দাবি করেন নোবোয়া। অন্যদিকে, কোরেয়ার এক দশকের সামাজিক সুরক্ষার নীতি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন লুইসা।
২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে কঠোর হাতে দেশের গুন্ডাবাহিনী দমন করেন নোবোয়া। এর জন্য বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেন তিনি। কঠোর নীতির জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.