চার মাস ১২ দিন পর আজ কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকাসহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। এ ছাড়া দানবাক্সে টাকার সাথে মনোবাসনা পূরণের আকাঙ্ক্ষার বেশকিছু চিঠি পাওয়া গেছে।
টাকা গণনার সময় চিঠিটি পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি চিঠিতে নাম-পরিচয়হীন একজন লিখেছেন- ‘ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই। সাধারণ জনগণ। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’
এ ছড়া আরও একটি চিঠিতে লেখা ছিল- ‘পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়।’
এবার দানবাক্সগুলো খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৪০০ জনের একটি দল টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন। এ সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তার, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ আলী হারিসী ছাড়াও সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসারের বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, ৪ মাস ১২ দিন পর আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়। পরে মসজিদের দোতলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড আট কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল। টাকা ছাড়াও মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.