দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৬ এপ্রিল রোববার এক দিনে ১২৬টি ট্রাকে ৫ হাজার ৪৪৭ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।
আগামীতে চাল আমদানির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে সাড়ে ৩টায় দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রোববার বেলা ১১টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এসব চাল ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করেছে। চাল আমদানির অনুমতির মেয়াদের সময়সীমা শেষের দিকে হওয়ায় সামনের দিনে আমদানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত থানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে চাল আমদানির অনুমতির সময়সীমা নির্ধারণ ছিল ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। সে হিসেব মোতাবেক গতকাল রোববার চাল আমদানির সময়সীমার শেষ দিন হওয়ায় প্রচুর পরিমাণ চাল আমদানি করা হয়েছে।
তবে সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চাল আমদানির অনুমতির মেয়াদ এর সময়সীমা আরেক দফা বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে করে বাকি যে কয়দিন রয়েছে এ কয়দিন চাল আমদানির পরিমাণ আরো বাড়বে।
তিনি বলেন, দেশের বাজারে আমদানি করা চালের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন মোকাম থেকে পাইকারেরা হিলি স্থলবন্দরে আসছেন চাল কিনতে। বাড়তি চাহিদাকে ঘিরে চাল আমদানির পরিমাণ বাড়বে। বন্দরে আমদানি করা শম্পা কাটারি জাতের চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫১ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার অশিত স্যানাল বলেন, দীর্ঘ ৯ দিন পবিত্র ঈদুল ফিতরের কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
রোববার ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের মধ্য দিয়ে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মাঝে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বন্দর দিয়ে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে। গতকাল রোববার বন্দর দিয়ে সর্বমোট ১৫৭ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ১২৬ ট্রাকে ৫ হাজার ৪৪৭ টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.