গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল’ ধর্মঘট

গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে আজ (৭ এপ্রিল) বৈশ্বিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে নিপীড়িত গাজাবাসী ৷

গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্বের সব দেশে একযোগে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত বন্ধ রাখার আহ্বান জানান তারা। গাজাবাসীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এই ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছেন।

এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা জুড়ে সোমবার (৭ এপ্রিল) তাদের সমর্থনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।

এ সপ্তাহের শেষে তিউনিসিয়া এবং ইয়েমেনের রাজধানী এবং মরক্কোর সবচেয়ে জনবহুল শহর কাসাব্লাঙ্কায়ও ফিলিস্তিনিপন্থি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজার হাজার মানুষ নিপীড়িত গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি জানায়।

এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোটবদ্ধ দেশগুলোতেও ট্রাম্পবিরোধী প্রতিক্রিয়া চোখে পড়ার মতো একটি বিষয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) রাবাতে বিক্ষোভকারীরা গাজার পুনর্নির্মাণের জন্য লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করার প্রস্তাবের নিন্দা জানান।

তাদের অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের অভিযোগ, গাজ়া নিয়ে ট্রাম্পের নীতিগুলো পূর্বসূরী জো বাইডেনের নীতির সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামঞ্জস্যপূর্ণ ।

এই বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের নিজস্ব সরকারের নিন্দা করে। কেউ হাতে ছেড়া ইসরায়েলি পতাকা বহন করেন, কেউ নিহত হামাস নেতাদের ব্যানার ধরে রয়েছেন। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের পোস্টার তুলে ধরেন।

এদিকে এই পরিস্থিতের মধ্যেও গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সর্বশেষ হামলায় দক্ষিণের খান ইউনিসে এক সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উত্তরের গাজা সিটিতে দুই শিশুও নিহত হয়। খান ইউনিসে একটি ভবনে ইসরায়েলের বোমা হামলায় কমপক্ষে আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিন গড়ে ১০০ ফিলিস্তিনি শিশু হতাহত হচ্ছে। এ সংখ্যা বিশ্বব্যাপী গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: আরব নিউজ এবং ওয়াফ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.