সাকিবের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে মামলা হতে পারে: দুদক চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, সাবেক সংসদ সদস্য ও এক সময়ের বিশ্বের শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৬ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

সাকিব দুদকের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন কিনা, জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, কমিশন বর্তমানে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে। তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে।

এর আগে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম আইকন সাকিবকে দুর্নীতির বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে দুদকের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে ২০১৮ সালে দুদকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছিল। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এক চুক্তিতে বিনা পারিশ্রমিকে একটি তথ্যচিত্রও করেন তিনি। ওই সময় দুদকের ১০৬ কমপ্লেইন হটলাইন উদ্বোধন উপলক্ষ্যে তথ্যচিত্র করা হয়েছিল।

রোববার সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলতে গণমাধ্যমের সামনে আসেন দুদক চেয়ারম্যান। এ সময় এক সাংবাদিক জানতে চান, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান দুদকের বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধেও তো দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ সময় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের আশঙ্কা, এমনও হতে পারে সাকিব আল হাসান দুদকের মামলার আসামিও হবেন।

এমন আশঙ্কার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি (অর্থপাচারের অভিযোগ) আমাদের অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে। অনুসন্ধানের পরে বোঝা যাবে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গত বছরের ২৮ আগস্ট দুদকে একটি আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিলহানুর রহমান নাওমী। আবেদনে সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, নিষিদ্ধ জুয়ার ব্যবসা ও জুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, স্বর্ণ চোরাচালানে সম্পৃক্ততা, প্রতারণার মাধ্যমে কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ, ক্রিকেট খেলায় দুর্নীতি ও নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। আর গত বছরের ৮ নভেম্বর সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.