প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচারিক সংস্কার শুধু খাতভিত্তিক সংস্কারের স্থায়িত্বের মূল চাবিকাঠি নয়। বরং এটি নিজেই সংস্কারের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রংপুর নগরীর একটি হোটেলে ইউএনডিপি আয়োজিত জুডিশিয়াল ইনডিপেন্সি অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার বিভাগ হলো রাষ্ট্রের এক নম্বর অঙ্গ যা বহু দশক ধরে নিজের অভ্যন্তরীণ সংস্কারের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই দাবির কেন্দ্রে রয়েছে নিজেদের সংস্কার কর্মসূচি নিজেরাই নির্ধারণ, বাস্তবায়নের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব গ্রহণ। গত ৮ মাসে এই প্রচেষ্টা অভূতপূর্বভাবে অর্জন করেছে। এখন লক্ষ্য হলো সেই উদ্দেশ্য পূরণ করা এবং তা যেন ভবিষ্যতেও টিকে থাকে তা নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা কখনও ক্ষমতার পূর্ণ পৃথক করার লক্ষ্যের এতটা কাছাকাছি আসিনি। যদি এই সুযোগ কোনোভাবেই নষ্ট হয় তবে তা বিচার বিভাগের মর্যাদা অখণ্ডতা এবং প্রাসঙ্গিকতার জন্য চরম ক্ষতিকর হবে। তাই আমার বার্তা পরিষ্কার আপনারা সবাই দায়িত্ব নিন। আমি আশা করি, এই বার্তা সমানভাবে সারা দেশে শক্তিশালী ভাবে প্রতিধ্বনিত হবে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.