দেশজুড়ে বিক্ষোভের দায় বিরোধীদের ওপর চাপালেন এরদোগান

টানা ষষ্ঠ রাতের মতো তুরস্কে বিক্ষোভ করেছে দেশটির নাগরিকরা। প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা একরাম ইমামোগলুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে এখন উত্তাল দেশটি। তবে বিক্ষোভকে ‘অশুভ’ অ্যাখ্যা দিয়ে মূলত বিরোধী দলকে দায়ী করছেন এরদোগান। তার দাবি, বিরোধী দলগুলোই চলমান ‘সহিংস বিক্ষোভে’ উষ্কানি দিচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সম্প্রতি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে এরদোগান চলমান বিক্ষোভকে ‘অশুভ’ বলে অভিহিত করেছেন। সেই সঙ্গে ‘উস্কানি’ দিয়ে নাগরিকদের শান্তি বিঘ্নিতের জন্য বিরোধী দলগুলোকে দায়ী করেছেন।

ইমামোগলুকে এরদোগানের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয়। গত বুধবার ২০২৮ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে তার তুরস্কের রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) মনোনয়ন পাওয়ার কথা ছিল। ওই দিনই দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে তাকে আটক করে সরকার।

প্রতিবাদে বুধবার শুরু হয় বিক্ষোভ, যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। এরপর প্রতিদিনই মানুষ রাস্তায় নামছে, আন্দোলন করছে। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপির এক পরিসংখ্যান বলছে, দেশটির ৮১ প্রদেশের মধ্যে অন্তত ৫৫টিতে, অর্থাৎ দেশের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি স্থানে বিক্ষোভ করেছে নাগরিকরা।

এর মধ্যে রোববার (২৩ মার্চ) রাতে দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ আন্দোলন দেখেছে দেশটি। টানা পঞ্চম রাতের মতো ইস্তাম্বুলের সিটি হলের কাছে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, পেপার স্প্রে ও রাবার বুলেট ছোঁড়া হয়।

সোমবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন রাতে হাজার হাজার মানুষ ইস্তাম্বুলের সিটি হলের কাছে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তাদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা ও নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। অন্যদিকে আগের দিনের মতো একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি এড়াতে মোতায়েন ছিল বিপুল পরিমাণ দাঙ্গা পুলিশ ও জলকামান।

তুরস্কের সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবারের আন্দোলনের আগ পর্যন্ত দেশজুড়ে ১ হাজার ১৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.