বিকেএসপিতে একটি ম্যাচ খেলতে গিয়ে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাক হওয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তামিমকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে তাৎক্ষণিকভাবে এনজিওগ্রাম করা হয়েছে। বিসিবি তামিমের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনও সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়মিত আপডেট করবেন বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) তিন নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে টস করেছেন তামিম। যেখানে টস হারায় ফিল্ডিং করতে হচ্ছে মোহামেডানকে। ফিল্ডিং করার এক পর্যায়ে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। তাৎক্ষণিকভাবে ফিল্ডিং করা বাদ দিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিনি। শুরুতে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় হেলিকপ্টার ডেকে পাঠানো হয়। তবে বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার আনা হলেও সেটাতে চড়তে পারেননি তামিম। সেই সময় অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে ইমার্জেন্সিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ট্রপোনিন আই পরীক্ষা করানো হয়েছে।
হার্টের ক্ষতির ঝুঁকি এবং মাত্রা শনাক্ত করতেই এই পরীক্ষা করানো হয়। সেটার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাক করেছেন তামিম। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ঢাকায় ফিরতে চেয়েছিলেন তামিম। এমন অবস্থায় আবারও বিকেএসপিতে ফিরতে চাচ্ছিলেন তিনি। যদিও তখন আবারও বুকে ব্যথা শুরু হওয়ায় আবারও হাসপাতালে ফিরে যেতে হয় বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মাঝে কিছুক্ষণ লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তামিম। এরপর এনজিওগ্রাম পরীক্ষার মাধ্যমে তামিমের হার্টে একটি ব্লক খুঁজে পায় ডাক্তাররা। তৎক্ষণাত তাকে একটি রিং পরানো হয়েছে। এরপর কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে তামিমকে পর্যবেক্ষণে রাখে চিকিৎসকরা। অবস্থার খানিকটা উন্নতি হলে ঢাকায় নিয়ে আসা হতে পারে বাঁহাতি এই ওপেনারকে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.